নিজে নিজেকে যে প্রশ্নগুলো করতে হয় না ?

এই বিষয়ে কি আদৌ আপনার কিছু করার আছে? উত্তরটা যদি ‘না’ হয় তবে উচিৎ হবে নিজেকে নিয়ে এরকম প্রশ্ন বন্ধ করা।

এই ধরনের প্রশ্ন বাদ দিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিতে জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মনোবিদ্যাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।

লোকে কী বলবে?

আপনি যাই করুন না কেনো কিছু লোক আপনাকে ভুল মনে করবেই। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে এসব কথায় কান না দেওয়া।

আমি কি সঠিক পথে চলছি?

হয়ত আপনার কর্মপন্থা সঠিক, হয়ত না। পরিস্থিতি যাই হোক না, কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করলে তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। তাই দুশ্চিন্তা থামিয়ে নিজের লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করে যাওয়াই ভালো।

আমি কী উপযুক্ত?

অবশ্যই আপনি উপযুক্ত। নিজের উপর আস্থা হারিয়ে নিজের স্বপ্নের জীবনকে জলাঞ্জলি দেওয়া উচিৎ নয়।

সবাই হয়ত আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে

হয়ত আপনি কোনো ভুল করেছেন এবং সবাই এই সুযোগে আপনাকে নিয়ে গাল ভরে হাসাহাসি করছে। মানুষকে হাসতে দিন। আপনার উচিৎ নিজেকে আরেকবার সুযোগ দেওয়া এবং সবাইকে ভুল প্রমাণীত করা।

ইস! আমার যদি…

জীবনে সবসময়ই কোনো না কোনো কিছুর আকাঙ্ক্ষা বা অপূর্ণতা থেকেই যাবে। তবে এই অপূর্ণতা জীবনের সুখ নষ্টের কারণ করে তোলা উচিৎ নয়।

সে আসলে কী বোঝাতে চাইল?

কমবেশি আমরা সবাই মানুষের কথার মাঝে লুকানো কোনো অর্থ আছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করি। তবে সবসময় কথার পেছনে লুকয়িত কোনো অর্থ নাও থাকতে পারে। সব কথার মর্ম উদ্ধার করা আপনার কাজ নয়।

আমি ওই কাজটা কেনো করলাম?

হয়ত ওই সময়ে বা ওই পরিস্থিতিতে কাজটা করা ঠিক ছিল। অথবা হয়ত আপনি অত্যন্ত সাদাসিধা ছিলেন। যাই হোক না কেনো শিক্ষাগ্রহণ করুন এবং সামনে এগিয়ে যান।

যদি সে না বলে?

মনের ইচ্ছা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সারা জীবন আফসোস করার চাইতে ঝুঁকি নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

যদি আমি ব্যর্থ হই?

একবারেই চেষ্টা না করার চাইতে, চেষ্ট করে ব্যর্থ হওয়া ভালো।

আমি কি এই অবস্থায় থাকতে চেয়েছিলাম?

এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর পাওয়াটা বেশ দূর্লভ, তবে এখানেই এর সৌন্দর্য। জীবনে চলার পথে ভুল হওয়াই স্বাভাবিক। জীবন নিয়ে অতিরিক্ত হিসাব করা বন্ধ করে প্রতিটা দিন উপভোগ করার চেষ্টা করুন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Press ESC to close