ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং লিডিং পর্যায়ে আছে ফাইবার। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসগুলোতে সিজনাল ইস্যুগুলো ডিপেন্ড হলেও ফাইবারে বছরের বার মাস সব সময় কাজ থাকে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে দিন দিন বাড়ছে ফাইবারে গিগ / সার্ভিস এর পরিমান। এত সংখ্যক সেলার দের মাঝে নিজের অর্ডার সংখ্যা টিকিয়ে রাখা অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমাকে অনেকেই ইনবক্স করে আগের মত সেল পাচ্ছিনা। আপনার সেল অ্যামাউন্ট কিভাবে টিকিয়ে রাখবেন এই নিয়ে ছোট্ট একটা টিপস দিচ্ছি। কারো সাথে মিলে ও যেতে পারে, তবে যারা জানেন না তাদের অনেক উপকার হবে।
১। এক সপ্তাহ দুই সপ্তাহ ধরে কোন মেসেজ আসছে না, এরকম হলে আমরা খুব চিন্তায় পড়ে যাই এবং গিগ এডিট করা শুরু করি। ভুলেও এই কাজটি করবেন না।
২। যতটা সম্ভব অর্ডার নেয়ার পরে ক্লায়েন্টের সাথে কোন রকমের বার্গেনিং করবেননা, যা করার অর্ডার নেয়ার পূর্বেই করবেন। ক্লাইন্টের ফিডব্যাক এবং ক্যানসেলেশন রেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্লায়েন্টের মনোভাব বুঝে সে যা চায় তাই মেনে নিন। অতিরিক্ত কাজ দিলে খুশি মনে করে দিন, টিপস পেলে পেতেও পারেন। কিন্তু কোনরকম কথা কাটাকাটি করা যাবে না।
৩। প্রাইজ অ্যামাউন্ট এবং প্রোফাইল ইনফর্মেশন ওয়েস্টার্ন দেশগুলোর সেলার দের ফলো করুন। নতুনরা সবাই প্রতিযোগিতায় টিকার জন্য সস্তায় সার্ভিস দেয়ার চিন্তা করে, কিন্তু এই হাজারো সস্তার ভিড়ে আপনি যদি শুধু একজন ব্যতিক্রম প্রাইস দেন, সবাই আপনার গিগ এর দিকে আলাদা নজর যাবে কেন সে একই কাজ বেশি দামে দিচ্ছে। আর আমাদের সাইকোলজি এটা মেনে নেয় যে দাম বেশি মানে সার্ভিসটা ভালো এবং প্রফেশনাল। দেখবেন আপনার কাছেই সবাই ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে।
৪। বেস্ট কোয়ালিটির কাজ দিয়ে প্রোফাইল সাজান, পোর্টফোলিও লিংক বানান। এ ব্যাপারে গুগল এবং ইউটিউব এ প্রচুর টিউটোরিয়াল এবং রিসোর্স পাবেন, একটু সময় ব্যয় করুন, আইডিয়া নেন কিন্তু কোন কপি করবেন না। আইডিয়া থেকে নিজের মতো করে নতুন আইডিয়া সৃষ্টি করুন।
৫। শুধুমাত্র ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর উপর ডিপেন্ড হলেই চলবে না, নিজেই করতে শিখুন নিজের সার্ভিস মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলো পার্সোনাল না রেখে এখনই প্রফেশনাল করে ফেলুন।
৬। নিজেকে একজন ইন্ডিভিজুয়াল সেলার না বানিয়ে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করুন। প্রোফাইল ছবিতে যদিও ফাইবার রিকোয়ারমেন্ট দেয় নিজের ছবি দেয়ার জন্য, কিন্তু অপশনাল হিসেবে আছে আপনি আপনার কোম্পানি কিংবা টিম এর লোগো ব্যবহার করতে পারবেন। তাই প্রোফাইল ছবিতে নিজের ছবির থেকে ব্র্যান্ডের লোগো টা বেশি প্রফেশনাল। তাই কোন এক্সপার্ট ডিজাইনার দাঁড়া কিংবা নিজে একটা ভালো মানের স্ট্যান্ডার্ড লোগো বানিয়ে ফেলেন।
৭। রেসপন্স রেট 100% এবং এভারেজ রেসপন্স টাইম 1 ঘন্টা রাখার চেষ্টা করুন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৮। আপনার ক্যাটাগরিতে একদম সম্পূর্ণ ইউনিক সার্ভিসগুলো নিয়ে খোঁটাখুঁটি করুন। কমন সার্ভিস গুলোতে রেঙ্ক করা নতুন হিসেবে আপনার জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, তাই আশাহত না হয় ব্যতিক্রম কিছু চিন্তা করুন।
৯। বেস্ট কোয়ালিটি সার্ভিস ইনসিওর করুন যেন একটি ক্লায়েন্ট যেন আপনার সাথে একবার কাজ করার পরে পরবর্তীতে আবার আসতে বাধ্য হয়। সব সময় আর্নিং-এর দিকে তাকাবেন না। কাস্টমার সার্ভিস ঠিক মত দিবেন।
১০। সর্বশেষ টিপস। অনেক ধৈর্য ধরুন। শিক্ষার কোন শেষ নেই, আপনি যতই এক্সপার্ট হন না কেন। প্রতিনিয়ত চর্চা করুন।
এই ছিল আজকের মত। আগামীতে আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ধন্যবাদ।
Leave a Reply